সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
লক্ষ্মণ বলে কেউ নেই তবে
একটি অদৃশ্য রেখা বা গণ্ডি কোথাও
টানা আছে আইনের খাঁচায়
খাঁচার ভেতরের পাখি যতই ডানা ঝাপটাক
কিচির-মিচির করে সেই অদৃশ্য মহাকাব্যিক
গণ্ডির মধ্যে তার নাচন কোঁদন
বেরলেই (সেখান থেকে) বিপত্তি, বিষয়টা তেমনি
জটিল, ধুরন্ধর ব্যাসকূট ভেদি গণিতের মত
রেখাটি যখন অদৃশ্য, কোথায় আছে একমাত্র
বিচারকরাই জানেন সে-কারণে
কবিতাও একটি সংযমের সাধনা, অবভাস
কিন্তু ছোট্ট সপ্তসিন্ধু দশদিগন্তের পরিসীমায়
কবিদের বাক ও লিখন কর্মের দাপটে
দণ্ডিত হয়েছেন অনেকেই মৃত্যু পর্যন্ত
এ সব মৃত্যুর অর্থ, আইনের চোখে হেরে যাওয়া
হলেও যা পরাজয় নয়
পাঠক বা শ্রোতারাও যুগান্তরের পথে
লক্ষ্মণরেখা মানেন নি
চক্ষু কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন হোক
মেধা ও মননের
আমি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠার আগেই।
মার খেতে খেতে হেরে গেলেও যদি
রোজগার হয় কিছু, অর্থাৎ
যারা সেই দৃশ্য দেখবেন বক্সিং-মঞ্চে
আর খেলা পরিচালনা করেন অভিজ্ঞ এক
নীতি-রক্ষক
যিনি কোমরবন্ধের নীচে যোদ্ধাদের কাউকেই
আঘাত করতে দেবেন না
সেটাই হল বক্সিং
প্রজাপতির মত ওড়া আর ভীমরুলের মত
হুল ফোটানোর এই খেলা
দেখিয়েছেন মহম্মদ আলি
অন্যদিকে চ্যাপলিন তার, সিনেমায়
আমাদের দেশেও কুস্তি-নামে একটা খেলা আছে
গোবরবাবু যার মধ্যমণি ছিলেন
আর পাঁয়তারা চলছে
বাতিল একটা যন্ত্রেরও নিকৃষ্ট
এই সম্পদ
ওজনে, যার ধাতু মূল্য কিছু নেই
ইতস্তত ছত্রাকার, শিরা-উপশিরায় জঙ
পাটকিলে মাটি, আগাছার মধ্যে
অবহেলিত
অচলাবস্থা কৃষিতেও, গ্রন্থিত হচ্ছে
মন্বন্তরের দিকে
গণতন্ত্রের দুর্দশায় পরাজিত
হতবল, আলস্যের কূটকচালি ও
নিস্পৃহতায়
যা কাঙ্খিত
আদিউ! পুরনো মেশিন
এই দুই প্রকল্পে আমাদের লগ্নি বেড়েছে
অন্তঃসারশূন্য রাজনীতির প্রতি
পুলিশ ও আইনি ব্যবস্থার প্রতি
ক্রমবর্দ্ধমান মানুষের আনুগত্য
শ্রম থেকে বিযুক্ত করেছি আনন্দ ও
ভালোবাসার নির্মাণশৈলি
আমরা। তবে
কেন আমাদের আস্থা এই ব্যবস্থার প্রতি, অবুঝ, অবাধ
আনুগত্যই বা কেন প্রশাসনের প্রতি
অজ্ঞাত আমাদের
দেখতে পারছ বা পারছ না
প্রধান আলোকস্তম্ভগুলো
নিবে আসছে
প্রায়ান্ধকার
অবিমিশ্র, অপ্রধান আলো
তার অঙ্গীকার ঢেকে আছে
শীর্ষসংঘাতে পরাভূত
নিভে যায়, ফের জ্বলে ওঠে
ইতিউতি, অপ্রধান আলো
তোমারো মুখের নিচে
প্রচ্ছায়ার সঙ্গে লগ্ন আছে
হীনমন্যতায় যেন
বিবমিষা
তবে কি চমক জাগবে?
তক্ষক ডেকে উঠবে
কয়েদখানায় যেমন হয়। অতিকায় ঘড়ি গড়িয়ে চলে আর
ঘণ্টার শব্দ। যেমন ওঠাবসা, নিত্যকর্ম, বিশ্রাম। লোহার দরজা
খোলা ও বন্ধ হওয়া। জলপাই পোশাক ঘোরে, ফেরে। শাদা
দাঁতের কড়কড়, ডাণ্ডা-বেড়ির ঝনঝন। কখনো তাদের মুখ বাঁধা
রোমালে। মাঝেমধ্যে রক্তপাত। পট্টি লাগানো, অল্পবিস্তর
হাসপাতাল। আদালতের নিদান।
শ্বাসরুদ্ধপ্রায়, আলো আঁধারি। অন্ধ জন্তুর সঙ্গে দু-একটা গর্জন!
বিদ্যুৎস্পৃষ্টতার মধ্যে স্তব্ধ হয়ে যাবার ভয়। চোখে চোখ না-রেখে
বা মাথা-নিচু, কথাও না বলতে পারার ভয়। ভয়ের বোঝা-চাপানো
দস্যু, তোমার মাথার ওপর। মানুষের রীতিনীতি অকেজো। রকমারি
ফন্দিফিকিরে গণতন্ত্র, মৃত। পাগলা-ঘণ্টি বেজে ওঠে না।