সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
১৯৯৮ সালের মাঝামাঝি আমরা মানে শ্যামবাজার ব্লাইন্ড অপেরার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সক্রিয় মানুষজন অনেক আলোচনা শেষে, মঙ্গলকাব্যের অন্তর্গত ‘মনসামঙ্গল’ পালাগানটি একটি মিউজিকাল (অপেরাধর্মী) নাটক হিসেবে মঞ্চস্থ করার কথা ভাবি। স্ক্রিপ্ট তৈরি হয়ে যাওয়ার পর, স্বাভাবিকভাবেই প্রথমেই আমরা ভাবি, মিউজিকের জন্য কার কাছে যাওয়া হবে? শ্রদ্ধেয় দীনেন চৌধুরীর কাছে প্রস্তাব রাখা হলে, তিনি রাজি হন তবে শর্তসাপেক্ষে। এই পালাগানে আমাদের স্ক্রিপ্টে ‘শিব’ যেভাবে এসেছেন, সেটা পরিবর্তন করতে হবে। আমরা রাজি হই না।
অপেরার অত্যন্ত আপনজন, শ্যামবাজার-শ্যামপুকুর অঞ্চলের অন্যতম বিশিষ্ট মানুষ আবার আমাদের কয়েকজনের দাদাও বটে, শ্রী নিতাই ঘোষ তখন আলাপ করিয়ে দেন বিশিষ্ট গায়ক ও লোকসংগীত বিশেষজ্ঞ শিবব্রত কর্মকারের সঙ্গে। শিবব্রত কর্মকারের সঙ্গে নিতাইদার লোকগানের সূত্রেই দীর্ঘদিনের আলাপ-পরিচয় শুধু নয়, ছিল এক সহজ সুন্দর আন্তরিক সম্পর্ক।
শিবব্রত কর্মকারের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাতে না হলেও একটু অন্যভাবে পরিচয় ছিল। গানের সূত্রেই। ওনার সংগীত গোষ্ঠী ‘ভ্রমরা’র গবেষণালব্ধ গ্রাম বাংলার লোকগানের একটি সংকলন, চার খণ্ডে ক্যাসেটে বের হয়েছিল। ওই ক্যাসেট সিরিজের একটি গান আমরা ব্যবহার করেছিলাম, ১৯৯৫ সালে ‘হল্লা’ নাটকে। গঙ্গার পূর্বকূলে চক্ররেল বরাবর ঝুপড়ি বাসিন্দা ছেলেমেয়েদের নিয়ে ওই নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়েছিল। এটি ছিল নান্দীকারের একটি উদ্যোগ। পরিচালক ছিলেন শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।
১৯৯৮ সালের শেষের দিকে মনসামঙ্গল পড়া হল। পড়া শেষে শিবব্রত বললেন, অসাধারণ। ওইদিনই রাজি হয়ে গেলেন নাটকে মিউজিক পরিচালনা করতে। শুরু হলো, মনসামঙ্গলের মহলা। মধ্যে ছোটখাটো একটা সমস্যা হয়ে গেল। পরিচালক শুভাশিস (গঙ্গোপাধ্যায়) ইটিভি বাংলার, মনসামঙ্গল সিরিয়ালের স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে হায়দ্রাবাদ গেল। ঠিক হলো, শুভাশিস না ফেরা অব্দি নাটকের বাকি কাজ অর্থাৎ পার্ট মুখস্থ করানো, কিছু কিছু কম্পোজিশন ইত্যাদি এগিয়ে রাখা হবে।
এরপর শুভাশিস এসে গেলে পুরোদমে নাটকের কাজ শুরু হয়ে গেল। এই পর্যায়ে শিবব্রত কর্মকার মহলায় প্রায় প্রতিদিনই হাজির থাকতেন। এই পর্বেই শিবব্রত কর্মকার আমাদের সবাইকার শিবুদা হয়ে গেলেন। আমি যতবার জিজ্ঞেস করি, মিউজিক কবে থেকে শুরু করবেন? একটাই উত্তর, করব। একদিন জিজ্ঞেস করলেন, আপনাদের নিজেদের হারমোনিয়াম আছে? আমি বললাম, না। পরদিন, নিতাইদা মানে নিতাই ঘোষ, আমাকে জানালেন, শোন্, একটা হারমোনিয়াম, তবলা, খঞ্জনি, ঘুঙুর আর বাংলা ঢোল কিনতে হবে। কাল সকালে শিবুদা আসবে। একসঙ্গে বের হব। বেশ কুণ্ঠিত হয়েই এবার জানাতে হলো, আমাদের অত টাকা নেই। নিতাইদার আরও সংক্ষিপ্ত উত্তর, জানি। পরদিনই সব ইন্সট্রুমেন্টই কেনা হয়ে গেল, সৌজন্যে নিতাইদা ।
পরদিন থেকেই শিবুদা বাজনাগুলো ছেলেমেয়েদের শেখাতে শুরু করে দিলেন। প্রত্যেকটা বাদ্যযন্ত্রেই শিবুদার পারদর্শিতা প্রকাশ পেল। আর কি পরম যত্নে, অনেকটাই বেসুরো আমাদের ছেলেমেয়েদের অফুরন্ত ধৈর্য নিয়ে শিখিয়ে গেলেন কেমন করে ভালোবাসায় যন্ত্রের ধ্বনিতরঙ্গ আর সুরে ভেসে যেতে হয়, ভাসিয়ে দিতে হয়। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় দৃষ্টিহীন ও দৃষ্টিমান সমস্ত ছেলেমেয়ে এবং কমবয়সী সংগঠকেরা নিজেদের একান্ত আপনজন শিবুদাকে চিনে নিল।
শিবুদার পরামর্শে আসতে অনুরোধ করা হল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্য শিক্ষক শ্রদ্ধেয় বটু পাল মহাশয়কে। শিবুদার কথায় এলেন তো বটেই এমনকি নিজের দায়িত্বের পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে বাড়তি দায়িত্ব নিলেন প্রতি শো’তে মিউজিক পিটে বসে ঝাঁঝ, ঘুঙুর ইত্যাদি বাজানোতে।
মনসামঙ্গলের মঞ্চসজ্জা করেছিলেন সমীর ভট্টাচার্য, প্রবীর মিত্র, দেবাশিস চক্রবর্তী, শিবা নন্দ। অঞ্জন দেব কোরিওগ্রাফি ও সুরঞ্জনা দাশগুপ্ত করেছিলেন পোশাক পরিকল্পনা। সবাই, তাদের সবটুকু সামর্থ্য উজাড় করে দিয়েছিলেন মনসামঙ্গল প্রোডাকশনে।
শিবুদা শুধু মিউজিক করেছেন এমন নয়, পুরো প্রযোজনা যাতে ভালো হয়, সেই প্রযোজনাতে যেন বাংলাকে চেনা যায় সেদিকেও তীক্ষ্ণ নজর রেখেছিলেন। শিবুদার পরামর্শে মূল নাটকে দুজন ভাঁড়ের চরিত্র আনা হয়েছিল যা পরবর্তীকালে দেখা যায় নাটকে নতুন মাত্রা সংযোজন করেছিল।
মনসামঙ্গল নাটক ২০০০ সালে পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমির বিচারে শ্রেষ্ঠ প্রযোজনার সম্মানে সম্মানিত হয়। না, শুধু দৃষ্টিহীনদের নাটক এমনভাবে নয়, পশ্চিমবঙ্গের ২০০০ সালে প্রযোজিত সমস্ত পূর্ণদৈর্ঘ্যের নাটকের সঙ্গে একই বিচারে শ্যামবাজার ব্লাইন্ড অপেরার প্রযোজনা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিল।
মনসামঙ্গলের পর ব্লাইন্ড অপেরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রাজা’ নাটক মঞ্চস্থ করার সিদ্ধান্ত নেয়। আমাদের ভাবনায় ব্লাইন্ড অপেরার যে কোন নাটকের মিউজিক শিবব্রত কর্মকারই করবেন এটাই যেন স্বতঃসিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শিবুদা প্রাথমিকভাবে রাজি হননি, অবশ্য আমাদের জোরাজুরিতে শেষে রাজি হয়ে যান।
মিউজিক রিহার্সাল শুরু হলে বোঝা গেল শিবব্রত কর্মকারের রবীন্দ্রসংগীত শুধু নয় ধ্রুপদী সংগীতের ওপরও প্রায় অবিশ্বাস্য অনায়াস বিচরণ-কথা। রাজা নাটক শুরু হচ্ছে, বেশ কয়েকজন ভাঙাচোরা দুর্বল মানুষ একে অপরের সঙ্গে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে শুয়ে আছে, গান শুরু হচ্ছে - মম চিত্তে নীতি নৃত্যে...। এই গানের সঙ্গে যে আবহ তৈরি করেছিলেন শিবব্রত, তা আমাদের যে কারোরই কল্পনার বাইরে। রবীন্দ্র সংগীতের সুর তাল লয় যথাযথ রেখে গোটা নাটক জুড়ে এক নতুন আবহ। নাটকে এক জায়গায় যুদ্ধ আছে, সেখানে বাংলা সংগীতের সঙ্গে রাজস্থানী বাদ্য ব্যবহার করে এক অনবদ্য মিউজিক কম্পোজ করেছেন। শিবব্রত কর্মকারের মিউজিকের বৈশিষ্ট্য বারবার বাঙালি সুধী সমাজ প্রশংসিত হয়েছে।
বাংলা লোকসংগীতে শিবব্রত কর্মকারের অনায়াস বিচরণের ম্যাজিক দেখা গেল ব্লাইন্ড অপেরার পরের প্রযোজনা, ‘আতরবালা সীমান্ত গাথা’ নাটকে। আমার কেমন জানি মনে হয়, শিবুদা না থাকলে এই নাটকের এতগুলি শো মঞ্চস্থ করা যেত না।
পরের নাটক ‘রক্তকরবী’। আবার রবীন্দ্র সংগীত। এখানেও শিবব্রত কর্মকার। এই নাটকে রবীন্দ্র সংগীত, লোকসংগীত ও গণসংগীত ব্যবহার করে শিবুদা বুঝিয়ে দিলেন রবীন্দ্রনাথের সুর না বদলেও, রবীন্দ্র সংগীত এখনও জয়ী। শিবুদা বারবার বলতেন রবীন্দ্রনাথ মানে বাংলা।
শ্যামবাজার ব্লাইন্ড অপেরার এই চলন অবশ্য ধরে রাখা যায়নি। বিভিন্ন কারণে সংগঠন ভেঙে যায়। প্রথমে এক ভেঙে দুই, দুই ভেঙে তিন, তিন ভেঙেও চার হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই ১৯৯৬ সালের সংগঠনের চেহারা এখন আর নেই। ২০০৬ থেকে নিজেদের মধ্যে মতভেদ আর মতপার্থক্য, ২০০৭ সালে প্রথম ভাঙন সম্পূর্ণ।
এই ভাঙনের পরে আবার ২০০৭ সালে শ্যামবাজার ব্লাইন্ড অপেরার প্রযোজনা শাওজাদা ফিরদৌসের নাটক, ‘বাণিজ্য বিস্তার’। এই পর্বেও শ্যামবাজার ব্লাইন্ড অপেরার কোন প্রযোজনাই শিবুদা ছাড়া হয়নি। একেবারে শেষ নাটকটি ছাড়া। এখন নতুন নাটকটি মঞ্চস্থ হচ্ছে, বাদল সরকারের ‘উদ্যোগ পর্ব’। এই সময়কালে শিবব্রত কর্মকার শারীরিকভাবে ও খানিকটা মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত ছিলেন। সে কথায় পরে আসছি। তার আগে বলি, অপেরার সেই নাটকটির কথা যেটা মঞ্চস্থ হওয়া ছিল শিবুদার কাছে বেশ বড় চ্যালেঞ্জ। ময়মনসিংহ গীতিকার, ‘দস্যু কেনারামের পালা’।
এই নাটকটা মঞ্চস্থ করবো ঠিক করার পর, শিবুদাকে বললাম একক অভিনয় করবে কমল (কাঞ্জিলাল)। তখনো তার শরীর খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না। হাঁটাচলা কমিয়ে দিয়েছেন, তার ওপর হাই সুগার। ডাক্তারের নির্দেশ, প্রেসক্রিপশনে বড় বড় করে লেখা, সিগারেট খাওয়া বন্ধ। পরিচিত ডাক্তার, খুব নরম উচ্চারণেই শিবুদাকে জানিয়েছেন, সিগারেট না ছাড়লে একটুও আর হাঁটতে পারবেন না, নার্ভের সমস্যা আরো বাড়বে। শিবুদা কিছুদিন কমিয়ে দিয়েছিলেন বটে, তারপর আবার যে কে সেই।
শিবুদা, তাঁর জীবনের একটা বড় সময় কাটিয়েছেন গ্রাম গ্রামান্তরের প্রান্তিক মানুষজনের সঙ্গে। তাঁদের লোকগানের পাঠ নিয়েছেন। আলাপ করিয়েছেন সেই সব মানুষজনকে শহরের মঞ্চে, সুযোগ করে দিয়েছেন দর্শককে তাঁদের ব্যতিক্রমী ভাষা ও সুরের সঙ্গে। আর এই ব্লাইন্ড অপেরায় কাজ করতে হয় যাদের নিয়ে তারাও এক অর্থে প্রান্তিক মানুষই তো! শিবুদার এত অসাধারণ ধৈর্য ও সক্ষমতা যে, কমলের মত ছেলে, যে কোনদিনই গানের চর্চা করেনি তাকে দিয়েও গান গাওয়ালেন। এবং শেষ পর্যন্ত কমল নাটকে আটত্রিশটা চরিত্র, গানে নাচে রূপায়িত করল। ‘বেহুলা মান্দাস ভাসায় জলে’, কমল বেহুলা হয়ে গাইছে। কমল এক লাইন গাওয়ার পর, কোরাস গাইছে। শিবুদা বললেন এই সুরটা আমার মায়ের তৈরি করা, আজ পর্যন্ত কাউকে দিইনি, বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
মহলা চলেছিল টানা এক বছর। ইতিমধ্যে শিবুদার শরীর আরো খারাপ হয়েছে। ৮ মার্চ ২০১৭ প্রযোজনা নামলো। প্রথম অভিনয় গিরিশ মঞ্চ। অনবদ্য প্রযোজনা। ২০২০ সালে DD Bangla, মঞ্চ সফল নাটকটি রেকর্ডিং করে তাদের আর্কাইভে রাখল।
করোনা চলাকালীন বাড়ি থেকে বের হওয়া একদম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিবুদা আরো ভেঙে পড়লেন। অন্য যে কোনো নাটকের দল থেকে মিউজিক করার আমন্ত্রণ পেলেও সরাসরি না বলে দিচ্ছেন। সিগারেট সংখ্যা আবার বাড়ছে। নার্ভের সমস্যা তীব্র। চটি পরে হাঁটতে গেলে পা থেকে চটি বেরিয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে কানেও কম শুনছেন। ডাক্তার জানাচ্ছেন, কানে যন্ত্র নিতে হবে। শিবুদা কিছুতেই মানবেন না। ভাব করছেন যেন সব শুনতে পাচ্ছেন।
এরই মধ্যে ব্লাইন্ড অপেরার দুটি নতুন নাটক, সতু স্যার ও শেষের কবিতা বাড়িতে বসেই মিউজিক করে দিয়েছেন। মিউজিক করার পর বলছেন, আমার মনে হয় এটাই আমাদের নাটকে শেষ মিউজিক। আর বোধ হয় পারবো না।
একই সঙ্গে, তাঁর নিজের দল ‘ভ্রমরা’রও খুব সম্ভব বেশ কিছু সমস্যা শুরু হয়। কয়েকজন বোধ হয় দল ছেড়ে দেন। জিজ্ঞেস করলে বলতেন, ‘ছাড়েন তো’। ছাড়তে ছাড়তে শিবুদা, শিবব্রত কর্মকার আমাদের চোখের সামনে ছিবড়ে হয়ে গেলেন।
ব্লাইন্ড অপেরার নতুন নাটক বাদল সরকারের ‘উদ্যোগ পর্ব’। শুনে খুবই আনন্দ পেলেন। মিউজিক করার কথায়, বললেন আমি আর পারছি না। আর সত্যি কথা বলতে কি কোন কাজই করতে ভালো লাগে না, খেতেও ইচ্ছা করে না। তবুও চাপাচাপিতে স্ক্রিপ্ট হাতে নিলেন। বেশ অনেকদিন সময় নিয়ে একটা সুরও করলেন। দেওয়ার সময় বললেন, আপনার প্রয়োজন মত ঠিক করে নেবেন।
তবুও কালধ্বনি পত্রিকার ৪০ বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত - ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ - দু দিনের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনা সভার প্রথম দিন ভাষা দিবস পালন করার কথা ছিল ‘ভ্রমরা’র। বাড়ি ছাড়া ভ্রমরা, ব্লাইন্ড অপেরা ও কালধ্বনি পত্রিকা - এই তিনটিই ছিল শিবব্রত কর্মকারের কাজের জায়গা, আনন্দের জায়গা, বিশ্রামের জায়গা। সেই কালধ্বনি পত্রিকার অনুষ্ঠানের জন্য ‘ভ্রমরা’র রিহার্সালে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পারলেন না শরীরটাকে টেনে নিয়ে যেতে।
সেদিন ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৯২৫ ছিল শিবব্রত কর্মকারের পারলৌকিক ক্রিয়াদি সম্পন্ন করার অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠান শেষে, শিবব্রত কর্মকারের লোকগানের দল ‘ভ্রমরা’, স্ত্রী লক্ষ্মী ও মেয়ে অংশুমালা সহ হাজির হলো ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়ামে। কালধ্বনি পত্রিকার ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান হল, শিবব্রত কর্মকার ছাড়াই। অন্য এক স্মরণ অনুষ্ঠান।
এখন, মহলা পরিচালনা করছেন, লক্ষ্মী, সংগঠন অংশুমালা। শিবব্রত কর্মকারের স্বপ্ন, প্রাথমিক বাধা কাটিয়ে আপাতত জ্যান্ত।