সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
শরতের যাই যাই আর শীতের আসি আসির মাঝে
একটা ছোট্ট হাইফেন আছে -হেমন্ত।
সাদামাটা, কিন্তু আদুরে।
লাজুক, কিন্তু জেদী।
হুটোপাটি করে জানান দেয় না, কিন্তু গায়ে হেলান দিয়ে বসে।
arrival, departure এ বড্ড চুপচাপ... আঙ্গুলের
ফাঁক দিয়ে গলে যাওয়া সময়ের মতো।
মায়া বাড়ে।
এইসব আলসে দুপুরগুলো থেকে
চুঁইয়ে পড়া অভিমানের কাছে চিবুক রাখি। জীবন
আমাকে যা দেবো দেবো করেও দেয়নি সেই ছোট্ট
ছোট্ট আব্দারগুলো নরম রোদে খেলা করে।
আশ্রয় তো দিতে পারি না, খানিক দূরে গিয়ে
দুচোখ ভরে দেখি... এটুকু ভার বইতে ইচ্ছে করে!
রোদ্দুর আগলে রাখা সেইসব ইচ্ছের কাছে ফিরতে ইচ্ছে করে!
বিপদসীমা আটকে দেয়।
বিকেল নামে।
গা শিরশির করে ওঠে।
মধ্যবিত্ত রেডিওতে তখন"ত্বকের যত্ন নিন"....
অসময়ে সময় যদি ডাকে,
হাওয়ায় কাঁপে সমব্যথার গান!
আকাশ হঠাৎ হারায় প্রিয় তারা
রূপকথা যার নিভন্ত আখ্যান!
অন্ত্যমিলে না হয় গেলাম হেরে;
আগুন ছোঁয়া অবক্ষয়েও চাই!
আমার বুকেই ছাই হয়েছে দেখো,
তোমার দেওয়া অবহেলাও,তাই!
পাখির ডানায় উড়তে চাওয়ার ভাগ্য;
উপড়ে যাওয়া গাছের ভবিতব্য...!
ছড়িয়ে আছে টুকরো খোলামকুচি
রান্নাবাটি সূর্যপ্রণাম যত;
রোদ্দুর-বুক পুড়িয়ে ফেলে দেখি
কেউ কোথাওই নেই যে তোমার মতো!
খেলনাবাটির ভাঙন জুড়ে জুড়ে
নিটোল জীবন আঁকতে গেছি যেই,
হাতের রেখায় মস্ত বড় ফাঁকি...
আমার কাছে মা ই যে আর নেই!
একগলা জল;সবার মুঠোয় দাবি,
গনগনে আঁচ, কোথায় ফেলি পা?
আমায় একটু শিখিয়ে যাও না, মা!
সে এক অনেক দিনের কথা....
জমকালো সেই সাজের চোখে নিবিড় ব্যাকুলতা!
সে এক গপ্পো মানানসই..
সমর্পণের নহবতে আদুরে হইচই!
সে যে শিউলি ঝরা বেলায়...
বসন্ত যায় উচ্ছলতার নিপুণ ধুলিখেলায়!
আজ অনেক দিনের পরে
সত্যি বলো, সেসব মনে পড়ে?
সময় হারায় অন্ত্যমিলের ভাঁজে
আলগা মুঠোয় কেবল তুমি...
নিজেকে পাই না যে....!!!
ফিরে আসি।
ফিরে আসি সেই সমস্ত মানুষ, কথা আর অনুভূতির কাছ থেকে যা আমাদের অভিমান চেনে না।
অভিযোগের ক্যাকোফোনিতে ডুবে যায় আদুরে চোখের বিনিময় প্রথা।
জানি, কোনো একদিন সময় মিটিয়ে দেবে লেনদেনের খুচরো হিসেব।
ফিরিয়ে দেওয়ার দরজায় এসে দাঁড়াবে ফিরে আসা....
যে হৃদয় ফিরিয়ে দিয়েছিল সেখান থেকেই উচ্চারিত হবে ফিরিয়ে আনার তীব্র তীক্ষ্ণ আকুতি।
তবু ফিরবে না কিছুই।
পড়ে থাকবে ছিন্নভিন্ন কয়েকটা ডাকনাম যাদের আর ডাকা হয়ে উঠলো না।
শীতের পশম খোঁজে নিভন্ত সন্ধ্যায় তারা,
হৃদয়কে 'ঘর' বলে ডাকনামে ডেকেছিল যারা;
অবশেষে মোহ থামে, বৃথা হয়ে সব আয়োজন
পড়ে থাকে এলোমেলো
ভুলগুলো ....
ফুলের মতন...
ধরো আর কিছু ঠিকঠাক হচ্ছে না...
হৃদয়ের তরে অলকানন্দা নেই
নেই হাসি খুশি স্বপ্নের করিডোর
বিঘ্ন বাধারা হাঁটছেই, হাঁটবেই...
বিপদের সাথে সখ্যতা দিন দিন,
আপদের সাথে বিস্তর কোলাকুলি,
সম্মান যত বিদ্রোহ ধরে বাজি
সমাজ শেখায়" ভালো হয়ে চল্" বুলি!
যারা প্রতিদিন ভাঙছে নতুন করে
তাদের চোখেই প্রাইস ট্যাগের খোঁজ?
ডার্ক সার্কেল মোছানো ক্রিমও জানে,
এখানে আলোর অপচয় হয় রোজ।
এবার থামুক মারফতে বাঁচাবাঁচি...
কিন্তু অথচ তবুও বরং খেই;
একবার শোন্, একবার শোন্ মেয়ে,
নিজেকে চাইতে লজ্জা করতে নেই!
স্পর্শকাতর একফালি মেঘ সম্মোহনে
আলগোছে ওই আকাশ পেরোয় আলসেমিতেই
বিকেল মাখা ঘরের প্রহর থমকে ওঠে
চোখ জানে তার জলের দাগে চায় তোমাকেই
কোথাও যেন ইচ্ছেগুলো হুজুগ সাজে
উপুরঝুপুর আদর মেখে বৃষ্টি বাজে